ভোলায় প্রবাসীর সীমানা দেওয়াল ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
ভোলার শহরের কালিবাড়ী রোডে এক প্রবাসীর ক্রয়কৃত জমিতে উত্তোলন করা পাকা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী ও সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ১১ই ডিসেম্বর ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি ভুক্তভোগী কামাল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রবাসী কামাল হোসেন এর সহধর্মিণী মাকসুদা খানম জানান, ক্রয়সূত্রে ওই এলাকার বাসিন্দা মিরাজ গংদের থেকে ৫৭নং ছোট আলগী মৌজার ৩০নং তৌজি ভুক্ত এস,এ ৭৫৪ নং খতিয়ানের ৭৯৬ নং দাগভূক্ত, চলমান জরিপের ডিপি ১৬৪৫ নং খতিয়ানের হালে ৬১৯ নং দাগভূক্ত জমি হতে তিনি ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ জমি দানপত্র ১১২৩ নং রেজিষ্ট্রি দলিলসূত্রে মালিক হয়ে পাকা প্রাচীর উত্তোলন করেন। প্রবাসী কামাল হোসেন এর ওই সিমানা প্রাচীর গভীর রাতে প্রতিবেশি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আলী ভেঙ্গে পেলেন। শফিকুল ইসলাম ও মো: আলী মিয়ার বাস ভবনের মধ্যখানে আমাদের ক্রয়কৃত জমিটি অবস্থিত বিধায় তারা দু’জনেই লোভে পড়ে উক্ত ভূমি দখল করে নিজেদের কব্জায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ কারনেই লোকজন নিয়ে এই জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেন। এ বিষয়ে সফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কামালের জমিটি প্রথমে বায়নাসূত্রে মালিক আমি ছিলাম পরবর্তীতে কামালরা ক্রয় করেছে। তা ছাড়া কামালের প্রাচীর আমি ভাঙ্গতে যাবো কেনো? তবে আমার জানালা বন্ধ করে কামাল প্রাচীর উত্তোলন করায় আমার ঘর অন্ধকার হয়ে যায় তাই আমি ইট সরিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রধান দরজা বন্ধ করে তারা প্রাচীর উত্তোলন করেছে, তাই আমি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মোহাম্মদ আলীর প্রধান দরজা নয় কামালের জমিতেই তিনি সিমানা প্রাচীর উত্তোলন করেছেন বরং সেটাই মোহাম্মদ আলী ভেঙে ফেলেছেন।