ভোলার মেঘনায় অবৈধ জাল ও নৌকা ধরে রাতের আধারে ছেড়ে দিলো নৌ-পুলিশ
ডেস্ক রিপোর্ট :
ভোলার বোরহানউদ্দিনের মেঘনায় রাতের আধারে অভিযান চালিয় বিপুল পরিমান অবৈধ বেহিন্দ জাল, ২টি নৌকা ও ১২ জেলেকে আটক করে হাকিমউদ্দিন নৌ-পুলিশ।
আটককৃত ১২ জেলের মধ্যে ৯ জেলে, ১টি মাছ ধরা নৌকা ও বিপুল পরিমান বেহিন্দ জাল রাতের আধাঁরে ছেড়ে দেয়ার অভিযাগ উঠেছে ফাঁড়ি ইনচার্জ সৈয়দ মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাধারণ জেলে ও এলাকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ২ প্রত্যক্ষদর্শী জেলে জানান, বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মেঘনা নদীর হাসাননগর এলাকায় অভিযান চালায় হাকিমউদ্দিন নৌ-পুলিশ। এ সময় ওই এলাকার ২ প্রভাবশালী মহিউদ্দিন মেম্বার ও মফিজল মাঝির ২টি মাছ ধরা ট্রলার, ১২ জেলে ও বিপুল পরিমান অবৈধ বেহিন্দ জাল আটক করেন নৌ-পুলিশ। আটককৃত জেলেরা হেলা সফিক, সাব্বির, হাসনাঈন, সুমন, জাহাঙ্গির, রিয়াজ, আজাদ, মুরাদ হোসেন, সবুজ। রাতভর রফাদফার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৯ জেলে, ১টি ট্রলার ও বিপুল পরিমান জাল ছেড়ে দেয় ফাঁড়ি ইনচার্জ।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা আটককৃত জেলেদের ছবি তুলতে গেলে ফাঁড়ি ইনচার্জ তড়িঘড়ি করে ৩ জেলেকে অটোরিকশা করে ভোলা আদালতে পাঠিয় দেয়। আটককৃত ১২ জেলের মধ্যে ৯ জেলেদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও বৃদ্ধ দেখে সংবাদকর্মীদের যাওয়ার আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সংবাদকর্মীরা আটককৃত অবৈধ জাল ও নৌকার ছবি তুলতে গেলে জাল, নৌকা দেখাতে অপারগতা করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ। জাল, ১ নৌকা ও ৯ জেলেকে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ফাঁড়ি ইনচার্জ সৈয়দ মোশারফ হোসেন জানান, অবৈধ জাল, নৌকা ১টি ও ৯ জেলেকে তারা আটক করেছেন, আটককৃতদের মধ্যে ৬জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও বৃদ্ধ থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ছাড়া তাদের ছেড়ে দেয়ার অধিকার আছে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় ফাঁড়ি ইনচার্জ।