Was bedeutet RTP im Casino? Auszahlungsquote reibungslos Caligula 80 freie Spins abgesprochen
মনপুরা হাজিরহাট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর একেরপর এক উদ্ভাবন
শিক্ষানবিশ রিপোর্টার
একেরপর এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ভোলাবাসীকে চমক দেখাচ্ছেন মনপুরা হাজিরহাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাহাসিন। এবার আবিষ্কার করলেন, বিদ্যুৎ অপচয় রোধে স্মার্ট ল্যামপোস্ট। এটির উপরে রয়েছে সেন্সর, যার মাধ্যমে সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, ‘রাতেও আলো দিতে সক্ষম এই প্রযুক্তি।
এর আগেও বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে আলোচনায় এসেছিলেন এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী, পরিবেশ সুন্দর ও দূষণ রক্ষায় তৈরি করেছেন স্মার্ট ডাস্টবিন। ডাস্টবিনের সামনে ময়লা নিয়ে আসলেই কোনো স্পর্শ ছাড়াই ঢাকনা খুলে যাবে, আবার ময়লা ফেলার পর একই ভাবে স্পর্শ ছাড়াই বন্ধ হবে।
বাসাবাড়িতে বেসিন ব্যাবহারে বিভিন্ন কারণে হরহামেশাই হচ্ছে পানির অপচয়, এই অপচয় রোধে তাহসিন তৈরি করেছেন স্মার্ট বেসিন, বেসিনের সামনে হাত নিলেই তা থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পানি পড়বে, আবার হাত সরানো মাত্রই পানি পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এমন সব অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভবনে খুশি তাহসিনের পরিবার, বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণসহ মনপুরা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। তারা বলছেন সরকারের সহায়তা পেলে হয়তো ঘরের ছেলে তাহাসিনই হতে পারে স্মার্ট এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের নির্মাতা।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাহাসিন ভোলার মনপুরা উপজেলার ২নং হাজীর হাট ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ক্বারী মো. আবদুল হালিমের ছেলে। পরিবারে ৪ ভাই-বোনের মধ্যে তাহাসিন তৃতীয়।
উদ্ভাবনীর বিষয়ে তাহাসিন বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার প্রযুক্তির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো এখনোও আছে, সেই আগ্রহকে এসব প্রযুক্তি তৈরীতে কাজে লাগিয়েছি। এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আরও জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ‘শেখ হাসিনা, ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ’কে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হতে এবং দেশের মানুষের কল্যানে ভূমিকা রাখতে এই প্রযুক্তিগুলো আমি তৈরী করেছি। আমার পরবর্তী প্রজেক্ট রোবট তৈরী , তবে এটি বাস্তবায়ন করতে ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন।
এ বিষয়ে হাজিরহাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, তাহাসিন এপর্যন্ত একাধিক প্রযুক্তি তৈরী করছে, এগুলো আমাদের জন্য খুবই উপকারী। প্রশাসনের সহায়তা পেলে সে অনেক দূর যেতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী তাহাসিনের উদ্ভাবনীগুলো আমি গিয়ে দেখেছি, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরার শিক্ষার্থী, ‘বিজ্ঞানের আবিষ্কার নিয়ে ভাবছে, ‘প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে, এটি সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে। এই শিক্ষার্থী তার আবিস্কার নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমার যতটুকু করার সম্ভব, আমি করবো।