ইউয়েফা নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন স্পেন
অনলাইন ডেস্ক :
ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার ইউয়েফা নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জয় পেয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দীর্ঘ ১১ বছর পর কোনো শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠল স্পেন।
২০১০ সালে বিশ্বকাপ, ২০১২ সালে ইউরো- তখন এক স্বর্ণালী সময় পার করেছে স্পেন। এরপর দীর্ঘসময় গিয়েছে, আর কোনো শিরোপা জেতেনি স্প্যানিশরা। আর তাই শিরোপা জয়ের এই উদযাপন বাঁধভাঙা।
একদিকে তারুন্যদীপ্ত গাভি, ফাতিদের উল্লাস; অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া শিবিরে বেদনার বিউগল বাজছে। লুকা মডরিচ, সময়ের সেরা। ৩৭ বছর বয়সেও নিজের সবটুক উজাড় করে লড়েছেন। ক্রোয়াটদের আক্ষেপ, তারা তাদের ইতিহাস সেরা ফুটবলারকে একটি মেজর ট্রফি উপহার দিতে পারল না।
দুই বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান, একটিতে রানার্সআপ, সবশেষ নেশন্স লিগে আরো একটি ফাইনাল হারের ক্ষত। স্বপ্নভঙ্গের হতাশা তো ক্রোয়াট কোচের থাকবেই।
ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ বলেন, আমরা আরো শাণিত আক্রমণ করতে পারতাম। সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা হতাশার। অবসরের সিদ্ধান্ত, মডরিচের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তবে আমরা চাই, মডরিচ আরও অনেকদিন আমাদের সঙ্গে থাকুক। ও ক্রোয়েশিয়ার সেরা ফুটবলার।
ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে দুদলই সমানে সমান লড়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলকিপারের শক্ত পরীক্ষা নিতে পারেনি। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে স্কোরলাইন গোলশূন্যই থাকে। ম্যাচ টাইব্রেকারে যাওয়ার পরও নাটকীয়তা। পেনাল্টি শ্যুটআউটের প্রথম ৩ শটে দুদলই জালের দেখা পেয়েছে। এরপর ক্রোয়াটদের হয়ে মায়েরের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন স্পেন গোলকিপার উনাই সিমোন।
স্প্যানিশ ডিফেন্ডার লাপোর্তের শট গোলবারে লেগে ফিরে এলে, জমে ওঠে ম্যাচ। পরের পেনাল্টি শটে আবারও দুর্দান্ত সেভ করেন সিমোন। এরপর দানি কারবাহাল স্পেনের জয় নিশ্চিত করেন।
স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তা বলেন, আমরা ট্রেনিংয়ে পেনাল্টি শুটের অনুশীলর করেছি। তা কাজে এসেছে। কারবাহাল পেশাদার এবং দারুণ ফুটবলার। যেভাবে ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি কিক নিয়েছে, অসাধারণ। ক্রোয়াটরা খুবই শক্ত দল। ওদের হারিয়ে ট্রফি জয় বড় অর্জন।