Breaking News :

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাধায় অনিশ্চিত মুমতাহিনার এসএসসি পরীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক :

পছন্দের বিয়ের পরও পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন মুমতাহিনা (মৌমি)। রোববার (২৯ এপ্রিল) তার এসএসসি পরীক্ষা, সব প্রস্তুতির পরও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অসহযোগিতার কারণে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রীটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। মুমতাহিনা এখন নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় দুখাফকিরের মোড় মহল্লায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছে। তার স্বামীর নাম বিপ্লব হোসেন। বিপ্লব ডিগ্রীতে পড়ালেখার পাশাপাশি প্রাণ কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করছেন। মেয়েটির বাবা মামুন রানা জানান, তার বাড়ি বগুড়া শহরের জয়পুরপাড়া মহল্লায়। তার মেয়ে এ বছর আলহাজ আব্দুল করিম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে (মানবিক) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা। মেয়েটির বাবা আরও জানান, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পছন্দ করে বিপ্লব হোসেনকে বিয়ে করেছিল। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই বদলে যেতে থাকে তার জামাই। প্রতিকুল পরিবেশে মেয়ে পড়ালেখা চালিয়ে গেলেও জামাই ও তার বাবা মায়ের অসহযোগিতার কারণে এখন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারছে না।

তিনি জানান, মেয়েকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করানোর জন্য দুইদিন ধরে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করেও মেয়ের জামাই ও তার বাবা-মাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি পড়ালেখা করিয়ে লাভ কি!

পরীক্ষার্থী মুমতাহিনা জানায়, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি রয়েছে তার। কিন্তু তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি পরীক্ষা না দেয়ার পক্ষে রয়েছে। তার বাবার সঙ্গেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সে এখন উভয় সংকট ও মানসিক চাপে রয়েছে বলে জানায়।

মুমতাহিনার শাশুড়ি বিউটি বেগম জানান, তার ছেলের স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যাতায়াতের সময় ক্ষতির আশঙ্কায় পরীক্ষা দিতে দেয়া হচ্ছে না।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বলেন, ছুটিতে রয়েছেন তিনি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান জানান, এলাকার বাইরে রয়েছেন তিনি। রাতে ফিরে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।