Breaking News :

চরফ্যাশনে একধিক হামলার স্বীকার সাংবাদিক আদিত্যকে দেখতে হাসপাতালে মেজবাহ উদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক :

ঢাকায় চিকিৎসারত চরফ্যাসন দক্ষিন আইচা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি আদিত্য জাহিদকে দেখতে ও তার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান সাবেক সচিব ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, চরফ্যাশন ও মনপুরার গরীব দুঃখী অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন।গেলো ২৪ এপ্রিল সোমবার দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সাবেক সচিব, ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলার-৪ আসনের নৌকা প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন। ওই প্রেস ক্লাবে মেজবাহ উদ্দিনকে আমন্ত্রণ জানানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের অনুসারী স্থানীয় ক্যাডারদের সাথে ওই প্রেসক্লাবের সভাপতি আদিত্য জাহিদ ও সাধারন সম্পাদক সেলিম রানাসহ সেখানকার সাংবাদিকদের সাথে পাক-বিতণ্ডা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সংসদ সদস্যের নির্দেশে চরমানিকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সফিউল্যাহ হাওদারের ছেলে তুহিন, যুবলীগের সবুজ ও ছাত্রলীগের লিমনসহ আরো কয়েকজন মিলে ক্লাবের সভাপতি সম্পাদকসহ আরো কয়েকজনকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলো। একপর্যায়ে ২৪ এপ্রিল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আদিত্য জাহিদ ও সাধারন সম্পাদক সেলিম রানাকে মেরে ফেলার জন্য সন্ত্রাসীরা তাদের উপর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার পরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তারা কোনোভাবে বেঁচে গেলেও পুনরায় ২৬ এপ্রিল ঐ তিন সন্ত্রাসীর নেতৃত্বেই একটি মেয়ে কেন্দ্রিক ঘটনার নাটক সাজিয়ে পুনরায় সাংবাদিক জাহিদের উপর হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসীরা দক্ষিন আইচা বাজারে ৩/৪ টি দোকানে তালা মেরে দেয় এবং মেজবাহ উদ্দিনের সাথে দেখা করার কারণে সেখানকার শতাধিক সরকার দলীয় লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি দামকি অব্যাহত রেখেছে।এদিকে দুই দুইবার জাহিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকায় নিয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতলে ভর্তি করানোর পাশাপাশি তার সকল চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে তিনি জাহিদের খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি বলেন, শুধু চরফ্যাশন ও মনপুরাই নয়, পুরো ভোলা জেলার যে কোন মানুষেরই সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে তাদের জন্য আমার দরজা সব সময়ই খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, ভোলার মানুষের জন্য আমার সর্বস্ব দিয়ে হলেও তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে তাদের জন্য কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ। আমি চরফ্যাশন ও মনপুরার মানুষকে কথা দিয়েছি, সেখানকার মানুষের মধ্য থেকে ভয় ভীতি কাটিয়ে তাদের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিবো। প্রতিটি মানুষই আমার দুয়ারে এসে তাদের সুখ-দুখের কথা বলার মতো আমি সুযোগ করে দিয়েছি। এমনকি আমার বাকি জীবনটা তাদের জন্য আমি উৎসর্গ করে দেবো। আমার শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকতে চরফ্যাশন মনপুরার জনগণ যাতে বিনা চিকিৎসায় ভুগতে না পারে সেই দিকেও আমার লোকদেরকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আমার সাধ্যমত অসহায় অসাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব। কোন পেশী শক্তির কাছে কাউকে আমি মাথা নত করতে দেবো না ইনশাল্লাহ। এমনকি কেউ যদি কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে অহেতুক আমার লোকদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করার চেষ্টা করে আমি সেখানকার প্রশাসনকে বলে দিয়েছি যেন সেই সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেন।এ সময় তিনি সাংবাদিক জাহিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হসপিটাল কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ প্রদান করেন।এদিকে ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জনমনে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তবে খুব শীঘ্রই সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের কাছে সোপার্দ করা হবে বলো জানান স্থানীয় থানা পুলিশ।