Breaking News :

স্কুল-কলেজের জন্য নতুন নির্দেশনা, নেই মঙ্গল শোভাযাত্রার কথা

অনলাইন ডেস্ক :

মাদ্রাসাকে বাদ দেওয়ার পর এবার পহেলা বৈশাখে স্কুল-কলেজেও মঙ্গল শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল শিক্ষা বিভাগ। বাংলা নতুন বছর উদযাপনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বৃহস্পতিবার যে নতুন নির্দেশনা এসেছে, তাতে মঙ্গল শোভাযাত্রার কথা নেই। গত ২০ মার্চ সরকারের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দেয়।

সেখানে বলা হয়েছিল, রোজার কারণে ছুটি থাকলেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। সেদিন সকালে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শোভাযাত্রা করতে হবে।ইউনেস্কো যে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সংস্কৃতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, তা ‘গুরুত্ব সহকারে’ প্রচারের নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছিল, সকালে আবশ্যিকভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শোভাযাত্রা করতে হবে। এরপর পহেলা বৈশাখের আগের দিন বৃহস্পতিবারই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মঙ্গল শোভাযাত্রার বদলে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশনা দেয় মাদ্রাসাগুলোকে। এরপর মাউশিরও নতুন নির্দেশনা আসে। সেখানে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করতে বলা হয়। মাউশির সহকারী পরিচালক রূপক রায় স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, “অনুষ্ঠানে পবিত্র রমজানের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে ও ধর্মীয় অনুভুতি বজায় রেখে যথাযথ আড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। ”হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি। রূপক রায়কে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। ঢাকার মতো বিভিন্ন জেলায়ও এমন শোভাযাত্রা বের করা হয়।