মনপুরায় পুলিশের উপস্থিতিতেই বিএনপির নেতাদের উপর হামলা
নিউজ ডেস্ক :
মনপুরায় পুলিশের উপস্থিতিতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমনটিই অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন। শনিবার (৮এপ্রিল) দুপুরে ভোলা জেলা যুবদল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত অবস্থান কর্মসুচির ধারাবাহিকতায় মনপুরায় বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আমি সহ আমার সাথে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নিয়ে সকালেই আমি মনপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হই। সেখানে গিয়ে আমি ডাক বাংলোয় অবস্থান নেই। কিছুক্ষণ পরই মনপুরা থানা পুলিশ এসে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমাকেসহ আমার নেতা কর্মীদের সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করে। এসময় পুলিশি নিরাপত্তায়ই ডাকবাংলো থেকে সরে গিয়ে আমরা হাজির হাটের উত্তর পাশের রাস্থায় আসতেই দেখা যায় পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগনেতা সুমন ফরাজী ও যুবলীগ নেতা জাবেদ ফরাজীর নের্তৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লাঠি সোটা নিয়ে আমি সহ আমার নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির মনপুরা উপজেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন প্রিন্স, উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক সামসুদ্দিন আহাম্মেদ মোল্লাহ, সবুজ, তুহিন, লিটন, আরিয়ান আরিফসহ ২৫ এর অধিক নেতা কর্মী আহত হয়। অহতদের মনপুরা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় এডভোকেট সালাউদ্দিন প্রিন্সকে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মনপুরার যুবদলের আহব্বায়কের বাড়িত হামলা চালায়। আমি জীবন বাঁচাতে কোনভাবে স্প্রীডবোটে যোগে ভোলা সদরে চলে আসিলেও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মনপুরার সাবেক মান্নান চেয়ারম্যানেরর বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীও জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি সদস্য, সাবেক যুবদলের সভাপতি ইয়ারুল আলম লিটন, যুবদল ভোলা জেলা সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন জিয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।