Breaking News :

ভোলায় স্ত্রীর হাতে মার খেলো স্বামী

অনলাইন ডেস্ক :

ভোলায় স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে গিয়ে স্ত্রীর হাতেই হামলার শিকার হয়েছেন স্বামী। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে স্বামী বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে পুলিশের ভাষ্যমতে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন।এ ঘটনায় স্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটির তদন্ত করছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগীর বোন তাসলিমা বেগম এ অভিযোগ দায়ের করেন।বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ ও ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি খবর পেয়ে সদর উপজেলা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত স্ত্রী মানছুরা আক্তার মুক্তা। তিনি মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং দুই সন্তানের জননী। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় এক বছর ধরে বিল্লালের স্ত্রী মানছুরা আক্তার মুক্তা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর কোনো নির্দেশনার তোয়াক্কা করতেন না। দিনদিন পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। অশ্লীলভাবে চলাফেরা করে। এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিল্লাল প্রায়ই তার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সবশেষ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় মোশাররফ দেওয়ানের বাড়িতে লাঠিসোঁটা ও লোহার রড দিয়ে স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। হামলায় বিল্লালের মাথা ফেটে যায়। এরপর তাকে টেনেহিঁচড়ে ঘরের মধ্যে তালা মেরে রাখা হয়। সারারাত রক্তমাখা শরীর নিয়ে তিনি ঘরের মধ্যে আটক থাকেন। খবর পেয়ে তার স্বজনরা বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে জানায়। ভোলা থানা পুলিশ ও ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই করতে হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মানছুরা আক্তার মুক্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও অভিযোগ আনা ৩ নম্বর বিবাদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ভোলা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম হোসেন বলেন, বুধবার সকালে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে বিল্লালকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বিল্লাল জানায় তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। তিনি এসবের প্রতিবাদ করায় তার স্ত্রী তাকে মারধর করে ঘরে তালা মেরে রাখেন। অন্যদিকে স্ত্রী দাবি করছেন তিনি পরকীয়া করছেন না। বরং তার স্বামীই পরকীয়ায় আসক্ত। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি স্ত্রী তার কথামতো চলছে না। স্থানীয়রা মুক্তার বিষয়ে একাধিক অভিযোগও করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর বোন বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।